শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post
লক্ষ্যমাত্রা ৫ হাজার ৩৬০ টন

অভয়নগরে চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন 

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি

অভয়নগরে চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন 

যশোরের অভয়নগর উপজেলায় চলতি মৌসুমে শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। চাষে কম খরচ ও বাজার মূল্য ভাল হওয়ায় লাভবান হচ্ছে চাষীরা। বাজারে ব্যাপক চাহিদার ফলে অনেক চাষী আগ্রহী হচ্ছে শসা চাষে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন কৃষকদের শসা চাষে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন তারা।

 ঘেরের আইলে পানির উপর মাচায় সবুজের সমরোহ, মধ্যে উকি দিচ্ছে হলুদ সাদা ফুল কিংবা থরে থরে ঝুলছে শসা। শসা চাষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে অভয়নগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। ক্রমেই বাড়ছে এই চাষ পদ্ধতি। ফলে উপজেলা জুড়ে শসা চাষে সম্ভাবনার হাতছানি দিচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ২৯৮ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর  ৪ গুন শসা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৩৬০ টন।

শুভরাড়া ইউনিয়নের রানাগাতী গ্রামের শসা চাষী ইকরাম শেখ বলেন, ১৩ বিঘা ঘেরের পাড়ে শসা চাষ করেছি, ফলন ভাল হয়েছে। চাষে আমার খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আশা করছি প্রায় ৩ লাখ টাকার শসা বিক্রয় করতে পারবো।

সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের শসা চাষী আলামিন গাজী বলেন, শসা আবাদ করে বাড়ন্ত গাছ মাচার ওপর ছড়িয়ে দেয়া হয়। এতে জায়গা কম লাগে ও অল্প পরিচর্যায় ভালো ফসল পাওয়া যায়। বীজ রোপণের ৪০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে গাছের ফল ধরা শুরু হয়। 

অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এই শসা চাষ সম্প্রসারণে প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে টেকনিক্যাল বিষয় যে পরামর্শগুলো আমাদের মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে দিয়ে আসছি। এখানে শসা সম্প্রসারণে ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। 

বিশেষ করে ঘেরের আইলে, রাস্তার দুপাশে যে জমিগুলো আছে সেখানে আমরা শসা চাষ করতে পারি। পুষ্টি মানের দিক থেকে শসা দারুন একটি পুষ্টিকর খাবার। বাজার মূল্যের কথা বলতে গেলে শসা একটি উচ্চমূল্যের ফসল। সব মিলিয়ে বলা যায় আমাদের উপজেলায় শসার বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকরা এতে বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে।

টিএইচ